IQNA

ভিডিও | কাসেম সোলাইমানি ও আবু মোহানদেসের ব্যাপারে অজানা কথা বললেন হাসান নাসরুল্লাহ

20:22 - December 28, 2020
সংবাদ: 2612027
তেহরান (ইকনা): ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি চলতি বছর তিন জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছিলেন। ইরাক সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি সেদেশ সফরে গিয়েছিলেন।

ড্রোন হামলায় সোলাইমানি ছাড়াও ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ শাআবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল মোহান্দেসসহ আরো আটজন শহীদ হয়েছিলেন। পার্সটুডে

পশ্চিম এশিয়ায় আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং এ অঞ্চলে দখলদার ইসরাইল ও মার্কিন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়ার ক্ষেত্রে জেনারেল সোলাইমানি বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। সোলাইমানির শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দেখা ভাষণে লেবাননের ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ আল মিয়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে শহীদ সোলাইমানির জীবনের বিভিন্ন দিক এবং এ অঞ্চলের ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রতিরোধ শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।

হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, সোলাইমানি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি তথাকথিত আরব বসন্তের অজুহাতে সিরিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য ও ইসরাইলের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যদি ইরাকের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো না থাকতো তাহলে এখনো দেড় লাখ মার্কিন সেনা ওই দেশে উপস্থিত থাকতো এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মার্কিন দূতাবাস ইরাককে পরিচালনা করতো। যদি ইরাকের প্রতিরোধ শক্তি না থাকতো তাহলে দায়েশ বা আইএস সন্ত্রাসীরা বিজয়ী হতো এবং সমগ্র ওই এলাকা তারা দখল করে নিত।

প্রকৃতপক্ষে, শহীদ সোলাইমানি শত্রুদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ইরানে ইসলামি মাজবাহগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরদার বিষয়ক পরিষদের মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম হামিদ শাহরিয়ারও একই কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইসলামের শত্রুরা আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করেছে যাতে ইসলাম ও মুসলিম জাতিগুলো সম্পর্কে সারা বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা যায়। অন্যদিকে তারা আইএস’র বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের অবৈধ উপস্থিতি জোরদার করার চেষ্টা করছে। এ ভাবে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরাক ও সিরিয়াসহ পশ্চিম এশিয়ার তেল সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।  iqna

captcha